Android App Permissions: আমাদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনে যন্ত্রটি হলো আমাদের অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা স্মার্ট ফোন, যেটি ছাড়া বর্তমান সময়ে আমার বা আপনার চলা কঠিন। সকালের ঘুম থেকে উঠা শুরু করে ঘুমানোর আগে পর্যন্ত আমরা আমাদের শখের মোবাইল টি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ গুলো আমাদের থেকে কি কি ধরনের পারমশিন নিচ্ছে তা কি খনো খেয়াল করছেন? কখনো কি এই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পারমিশন নিয়ে গভীর চিন্তা করছেন?
যদি না করে থাকেন তাহলে এই আর্টিকেল টি আপনার জন্য এখন থেকেই চিন্তা শুরু করুন। যেকোন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহার করার আগে সর্তক হোন। আজকে আমি এই Android App Permissions নিয়ে কিছু গুরুত্ব আলোচনা করব যা আশা করি এই প্রযুক্তি জগতে চলতে কিছুটা আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে চলতে সাহায্য করবে।
লেখার সূচিপত্র
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ পারমিশন কি জিনিস?
আমরা আমাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলের জন্য প্লেস্টোর বা অন্য সোর্স থেকে যেসব অ্যাপ ব্যবহার করে থাকি সেই গুলো কাজ করার জন্য ডিভাইস বিভিন্ন জিনিসের সাথে কাজ করার জন্য পারমিশন বা অনুমতি নিয়ে থাকে। যেমনঃ ক্যামেরা, সেন্সসর,লোকেশন,স্টোরেজ, স্ক্রিন অভারলে ইত্যাদি সিস্টেম ব্যবহার করা জন্য পারমিশন চেয়ে থাকে। অ্যান্ড্রয়েড App Permissions গুলো কেন? কি কারণে নিচ্ছে তা জানা আমাদের আবশ্যক নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে।
Android App Permissions Control
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহারে আমাদের কতটা সর্তক হওয়া উচিত তা অনেকেরই অজানা। অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল বিভিন্ন লোকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধন্রের অ্যাপ ব্যবহার করে থাকে কিন্তু কখনো কি অ্যাপটি ইন্সটল করার সময় কি কি পারমিশন দিয়ে দিচ্ছেন খেয়াল করছেন? আমরা যদি Android app permissions গুলো কে না কন্ট্রোল করি তাহলে দেখা যাবে অ্যাপ গুলো আমাদের কন্ট্রোল করে বসে থাকবে।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম অর্থ্যাৎ অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল যখন বাজারে নতুন আসে তখন অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল এখন যেমন সিকিউরিটি যুক্ত করেছে তেমন টা আগে ছিল না। আমরা আগে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ইন্সটল এর সময় দেখতে পারতাম কি কি পারমিশন নিবে অ্যাপ কিন্তু এখন বর্তমান অ্যান্ড্রয়েড এর উন্নত ভার্সন গুলোতে অ্যাপ ইন্সটল করার পর ওপেন করে তারপর একে একে পারমিশন দিতে হয়। অ্যাপ গুলো তে পারমিশন দেওয়ার সময় স্পষ্ট করে লেখা থাকে কি কি জিনিসের Permissions বা অনুমতি নিচ্ছে কাজ করার জন্য।
অ্যাপে পারমিশন দেওয়ার আগে সর্তকতা!
প্রত্যেক অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ কোন না কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্য তৈরী করা হয়ে থাকে এবং সেই অনুযায়ী অ্যাপ ইন্সটল এর পর আমাদের পারমিশন দিতে হয় কিন্তু ধরুন আপনি একটি নোট অ্যাপ ব্যবহার করছেন যেখানে আপনি কিছু টেক্সট লিখে সেটা সেভ করে রাখতে পারবেন। এখন সেই ভাবুন এই কাজ গুলো করতে অ্যাপের কি পারমিশন প্রয়োজন হতে পারে? বড় জোড় শুধু স্টোরেজ অ্যাক্সেস আবার যদি ভয়েস টাইপিং এর সুবিধা থাকে নোট অ্যাপে তাহলে ভয়েস অ্যাক্সেস মানে মাইক্রোফোনের অ্যাক্সেস।
কিন্তু আপনি যদি দেখলেন অ্যাপ টি আপনার কাছে ক্যামেরা পারমিশন চেয়ে বসল আর আপনি দিয়েও দিলেন তাহলে মনে করুন কিছু একটা গরবর আছে। আপনি ভালো করে জানেন এই অ্যাপে ক্যামেরা রিলেটেড কোন ফিচার নাই কিন্তু সেই আপনার ক্যামেরা অ্যাক্সেস কেন চাচ্ছে? এটা অস্বাভাবিক ব্যাপার কাজ যেই গুলোর সেই পারমিশন গুলো চাওয়া ঠিক আছে। তাছাড়া অ্যাপ আপনার কাছে অন্য কিছু পারমিশন চাচ্ছে তখন আপনার উচিত ঐ অ্যাপ কে পারমিশন না দেওয়া পারলে ঐ অ্যাপ টি ব্যবহার করা ছেড়ে দেওয়া।
অ্যাপ পারমিশন নিয়ে সোশাল মিডিয়া তে চুলকানী সম্পর্কে!
বর্তমান সাল অর্থ্যাৎ ২০২০ বা বিগত সালে আমরা মাঝে মাঝে ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহারে সর্তকতা নিয়ে বিভিন্ন নিউজ বা পোস্ট ভাইরাল হতে দেখে থাকি। যেমন Photo Lab নামে একটি অ্যাপ রয়েছে যা অনেক আগেই থেকেই প্লে স্টোরে রয়েছে কিন্তু এই বছরে দেখা গেল কি ঐ অ্যাপের একটি সুন্দর ফিল্টার বের হলো এবং জনগণ সেটা ব্যবহারও করছে। তো এই ফিল্টার গুলো ব্যবহার করাই মাঝে কি একটা নিউজ আসল যে ফটো ল্যাব অ্যাপ ব্যবহারকারীর তথ্য ওমুক তমুক কোম্পানি হাতিয়ে নিচ্ছে আবার কোন নিউজ মিডিয়া এমন ভাবে উপস্থাপন করছিল যেন কি না কি হয়ে যাচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হলো এর আগে কি অ্যাপ গুলো ছিল না তখন কেন নিউজ নি? যেই অ্যাপ গুলো ভাইরাল হয় চুলকানি উঠে এই সেই নিউজ বের করে। তাদের ভাষ্য মতে অ্যাপ গুলো ইউজারের অজান্তেই বিভিন্ন ধরনের তথ্য চুরি করছে, তারা তাদের স্টোরেজ পারমিশন নিচ্ছে হ্যান ত্যান। আপনারা খেয়াল করে দেখবেন শুধু ফটোল্যাব App Permissions নিয়ে যে নিউজ হয়েছিল তা না এর মাঝে ফেসবুকে একটি ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল যে ছেলে থেকে মেয়ে করা বা বুড়ো করা Face APP এর মাধ্যমে।
এখন বিষয় গুলো লক্ষ্য করলে দেখবেন যখন একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বা কিছু ভাইরাল হয় তখন ই এর সিকিউরিটি নিয়ে যতসব নিউজ বের হয়। আর নিউজ গুলো পাবেন শুধু বাংলাদেশি মিডিয়া তে ফেসবুকের টাইম লাইনে কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল ভাবে কোন নিউজ দেখতে পারবেন না। তাদের কথা হলো অ্যাপ গুলো নাকি এই স্টোরেজ পারমিশন, ক্যামেরা পারমিশন ইত্যাদি পারমিশন নিয়ে ডাটা চুরি করছে এখন আপনি ভাবুন অ্যাপ গুলোর কাজ হলো আপনার ছবি ইডিট করা এখন সে যদি আপনার স্টোরেজ পারমিশন না নেয় তাহলে ছবি গুলো অ্যাক্সেস করবে কিভাবে আর কাজ বা করবে কিভাবে?
এটা একটা কমন নলেজ যে অ্যান্ড্রয়েড ফাইল এর সাথে কাজ করার জন্য স্টোরেজ বা ক্যামেরা পারমিশন দিতে হবে। কিন্তু এখন অনেকেই প্রশ্ন করে পারেন তাহলে কি ঐ অ্যাপ গুলো ডাটা চুরি করছে না? দেখুন কোন অ্যাপ আপনার ডাটা চুরি করছে না করছে সেটা বাইরে থেকে বুঝা মুশকিল কিন্তু নিউজ মিডিয়া যেভাবে এই গুলো নিয়ে রিপোর্ট করে সেই গুলো ভুল বলে আমি মনে করি একটি Photo Editor অ্যাপ কি ধরনের App permissions গুলো দিতে হয় সেটা আমরা জানি। কিন্তু নিউজ মিডিয়া কি রিপোর্ট করতাছে কিছু লোক কি ভাইরাল করছে যে এই অ্যাপ এই পারমিশন নিয়ে ডাটা চুরি করছে। এখন আপনি বলেন অ্যাপ গুলো পারমিশন না নিলে কাজ করবে ক্যামনে? হ্যা হতো ঐ অ্যাপ গুলো যদি লোকেশন পারমিশন নিতো তাহলে হতো যে ফটো ইডিটর অ্যাপ লোকেশন পারমিশন কেন নিবে।
হ্যাঁ আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত ডিজিটাল জিনিস গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করা কিন্তু কোন যৌতিক্তা ছাড়া একটি অ্যাপের বিরুদ্ধে ফেক নিউজ না করা। একটি অ্যাপ যখন ভাইরাল হয় তখন ই দেখবেন মিডিয়া গুলো এই ধরনের নিউজ করে এখন আপনারাই বুঝে নেন।
App Permissions Control করবেন যেভাবে?
আপনার ব্যবহৃত সব Android App permissions চেক করার জন্য অ্যাপ ম্যানেজার থেকে অ্যাপ গুলো ওপেন করলে পারমিশন সেটিং থেকে দেখতে পারবেন এবং সেখানে ঐ অ্যাপ টি কি পারমশিন নিয়ে রাখছে সেটা দেখতে পারবেন এবং যেই গুলো অবাঞ্চনীয় লাগবে সেই অ্যাক্সেস গুলো দিবেন না।
এবং আরেকটি লক্ষণীয় বিষয় হলো অনেকে সময় পছন্দের অ্যাপ প্লেস্টোরে যদি আমরা না পাই তাহলে অন্য সোর্স থেকে ডাউনলোড করতে যায় এবং ডাউনলোড করতে গিয়ে দেখা যায় ভুল ডাউনলোড হয়। অবশ্যই তখন একটু সর্তক তাকবেন যেন সঠিক অ্যাপটি ডাউনলোড করছেন তাছাড়া এটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করলে আপনার ক্ষতি সাধন করতে সে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
শেষ কথা
Android app permissions নিয়ে আমি অনেক কিছু বললাম এলোমেলো ভাবে কিন্তু আশা করি মূল পয়েন্ট আপনারা বুঝতে পারছেন। অবশ্যই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহারে সর্তক হবে এবং অ্যাপ ব্যবহার পূর্বে তার পারমিশন গুলো চেক করে নিবেন।
আরো পড়ূনঃ
আপনার মোবাইলকে সেকেন্ডারি মনিটর হিসাবে ব্যবহার করুন।