সূর্য উদয়ের দেশ হিসেবে পরিচিত জাপান বিশ্বকে অনেক ভাবে প্রভাবিত করেছে। আপনি নিজেও হয়তো, জাপান সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলো সম্পর্কে জানেন না। জাপানকে আবিস্কার, ফুড হেবিট , জীবনধারা সব দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
জাপানের কিছু বিষয়ে, এমন কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে, যা জানলে আপনি রীতিমত অবাক হবেন। আজকের এই লেখায় জাপান সম্পর্কে অজানা তথ্যগুলোই জানবো। ইতোমধ্যে চীন সম্পর্কে অজানা তথ্য নিয়ে লেখা দিয়েছিলাম, চাইলে পড়ে দেখতে পারেন।
লেখার সূচিপত্র
জাপান সম্পর্কে অজানা তথ্য
১. গভীর রাতের নাচ অবৈধ
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে আরোপিত, এই নিষেধাজ্ঞাটি পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য করা হয়েছিল। কারণ, নাচের হলগুলি, পতিতাবৃত্তির আস্তানা ছিল। মধ্যরাতের পরে নাচের লাইসেন্স ছাড়া, অনুষ্ঠানস্থলে নাচ করা অবৈধ ছিল। তারা যদি, আপনাকে নাচা অবস্থায় পায় তাহলে, নগদে গ্রেপ্তার করে নেয় যাবে।
যাইহোক, বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে, এটি প্রয়োগ করা হয়নি। একবিংশ শতাব্দীতে এই নিষেধাজ্ঞাটি পুনরুজ্জীবিত হয়েছিল, যখন সেলিব্রিটিদের বিরুদ্ধে মাদকের অভিযোগ উঠে। তখন পুলিশ আইনটিকে শক্তিশালী করেছিল এবং ক্লাবগুলিকে মধ্যরাতে বন্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এই আইনটি ২০১৫ সাল পর্যন্ত কার্যকর ছিল।
২. ওয়াটারপ্রুফ স্মার্ট ফোন
জাপানে বানানো বেশির ভাগ স্মার্টফোন ওয়াটারপ্রুফ। কারণ, জাপানিসরা গোসলের সময়ও ফোনে ইউজ করে। জাপানের মানুষরা কাজের পরে গোসল করতে এসে ফোন স্ক্রলিং করে। সেক্ষেত্রে জলরোধী স্মার্ট ফোন তারা প্রেফার করে।
৩. বিশ্বের প্রাচীনতম কোম্পানি
কঙ্গো গুমি ছিল জাপানভিত্তিক একটি নির্মাণ কোম্পানি এবং ইতিহাসের দীর্ঘতম অপারেটিং কোম্পানি। এটি ৫৭৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১,৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পরিচালিত হয়েছিল।
নির্মাণ সংস্থাটি বেকজে থেকে একজন অভিবাসী দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা আধুনিক কোরিয়ার অংশ। তিনি প্রিন্স শোটোকু ওসাকার একটি বৌদ্ধ মন্দির শিতেননো-জি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যা আজও দাঁড়িয়ে আছে।
সংস্থাটি ১৬ শতকের ওসাকা ক্যাসলের মতো অনেক ঐতিহাসিক ভবন নির্মাণের সাথেও জড়িত ছিল। মজার ব্যাপার হল, ৫টি প্রাচীনতম কোম্পানি আজও কাজ করছে তাদের বেশীরভাগই জাপানি, যার মধ্যে ৩ টি আতিথেয়তা শিল্পে রয়েছে।
৪. জাপান ৬,৮৫২টি দ্বীপ নিয়ে গঠিত
যদিও এটি ব্যাপকভাবে পরিচিত যে, জাপানের বিভিন্ন জলবায়ুসহ বিভিন্ন প্রিফেকচার রয়েছে, তবে অনেকেই জানেন না যে জাপান আসলে একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। এটি পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র এবং বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম দ্বীপ রাষ্ট্র।
জাপানের চারটি বৃহত্তম দ্বীপ হল, হোনশু, হোক্কাইডো, কিউশু, শিকোকু এবং ওসাকা, যা মোট ভূমি এলাকার প্রায় ৯৭%। সবচেয়ে বড় দ্বীপটি হ’ল হোনশু, যা জাপানের মূল ভূখন্ড হিসাবে বিবেচিত হয়।
৫. জাপানে ফালাসকে উৎসর্গ করে উৎসব হয়
এই শিন্তো উৎসবটি কানামারা মাতসুরি নামে পরিচিত, যা আক্ষরিক অর্থে ইস্পাত ফালুস। এপ্রিলের প্রথম রবিবার কাওয়াসাকি শহরে এই উৎসব পালিত হয়। পুরুষের লিঙ্গ কেন্দ্রিক এই উৎসব।
উৎসবের উৎপত্তি একটি পুরানো শিন্তো উপকথা থেকে এসেছে। জনশ্রুতি আছে যে, একবার একটি ভয়ংকর রাক্ষস, এক দেবীর প্রেমে পরে। রাক্ষস দেবীর প্রেমে এতই আসক্ত হয়ে পরেছিল যে, সে সবসময় দেবীর গোপনাঙ্গে লুকিয়ে থাকতো। দেবীকে যখন অন্য পুরুষ বিয়ে করতো, তখন রাক্ষস সেসব পুরুষের লিঙ্গ কেটে ফেলতো। দেবী তখন ক্ষিপ্ত হয়ে, একজন লোহাশিল্পীর দ্বারা একটি লোহার ফালাস তৈরি করেছিলেন। আর এটা ঢুকিয়ে দৈত্যের দাঁত ভেঙে দিয়েছিল।
আর এই জিনিসটি কাওয়াসাকির কানায়ামা মন্দিরে রাখা হয়েছে। এই মন্দিরে পতিতা এবং যৌন-সংক্রামক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রার্থনা এবং সুরক্ষা পাওয়ার জন্য একটি আশ্রয়স্থল। লোকেরা এইখানে উর্বরতা, বিবাহ এবং ব্যবসায়ের জন্যও প্রার্থনা করে।
৬. অফিসে ঘুমানো যায়
জাপানিরা বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করে। রাতে সবচেয়ে কম ঘুমায়। এটা স্পষ্ট যে অতিরিক্ত পরিশ্রমী জাপানিদের, বিশ্রামের খুব প্রয়োজন।
সৌভাগ্যবশত, জাপানি নিয়োগকর্তারা তাদের কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে পাওয়ার ন্যাপ (ঘুম) নেওয়ার অনুমতি দেয়। জাপানে সর্বজনীনভাবে ন্যাপিং করার একটি শক্তিশালী সংস্কৃতিও রয়েছে। অনেক জায়গায় দেখবেন, জাপানিরা কাজের মধ্যেও ঘুমাচ্ছে।
৭. শব্দ করে নুডলস খাওয়াকে নম্রতা বলে মনে করা হয়
জাপানকে অত্যন্ত কঠোর নিয়ম-কানুনের দেশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেদিক থেকে স্লারপিং করে শব্দ করে নুডলস খাওয়াকে নম্রতা বলে ধরা হয়। এটি কিছুটা অবাক করে সবাইকে। জাপানে শব্দ করে নুডলস খাওয়া মানে, আপনি যে খাবারটি উপভোগ করছেন এবং শেফকে প্রশংসা করছেন; সে হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
৮. টয়লেট পেপারের চেয়ে কমিক্স প্রিন্টের জন্য বেশি কাগজ ব্যবহার করা হয়
বেশিরভাগ লোক জাপানে বিডেট ব্যবহার করে। টয়লেট পেপার অন্যান্য দেশের মতো এইখানে বেশি ব্যবহার করা হয় না।
অন্যদিকে, কমিক্স বা গ্রাফিক উপন্যাস সব বয়সের মানুষের দ্বারা ব্যাপকভাবে পড়া হয়। মাঙ্গার/কমিক্স এর একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে – এটি প্রথম মেইজি যুগে শিশুদের মধ্যে পড়াশোনাকে উত্সাহিত করার জন্য, ম্যাগাজিনগুলিতে কমিক স্ট্রিপ হিসাবে প্রবর্তিত হয়েছিল।
৯. জাপানে সাক্ষরতার হার ৯৯%
১৫ বছরের বেশি বয়সী তরুণদের মধ্যে সাক্ষরতার হার প্রায় ৯৯%, যা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ। সাক্ষরতার বলতে বোঝাচ্ছে, যেকোন বাক্য সহজভাবে পড়ার ক্ষমতা, লিখতে এবং মৌলিক গাণিতিক সমীকরণগুলি সমাধান করার ক্ষমতা।
১০. টোকিও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মেট্রোপলিটান এলাকা
বৃহত্তর টোকিও বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল মেট্রোপলিটান এলাকা। ৩৮ মিলিয়ন মানুষ টোকিওতে বসবাস করে – এটি জাপানের মোট জনসংখ্যার ৩০%। বৃহত্তর টোকিও প্রায় ১৩,৫০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে এবং এর মধ্যে রয়েছে টোকিও মেট্রোপলিস এবং আশেপাশের প্রিফেকচারগুলি, যেমন কানাগাওয়া, চিবা এবং সাইতামা।
তুলনায়, নিউ ইয়র্ক সিটি ৭৮৪ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে, যা বৃহত্তর টোকিওর প্রায় অর্ধেক এলাকা।
১১. জাপান সামুদ্রিক খাবারের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ
জাপানে ৭.৪ মিলিয়ন টন সামুদ্রিক খাবার ব্যবহারের রেকর্ড রয়েছে। তারা প্রায় বিশাল সাইজের নীল তিমি খেয়ে থাকে। যার ওজন প্রায় ৩৭,০০০ কেজি। ২০১৭ সালে মাথাপিছু মাছ এবং সামুদ্রিক খাবারের ব্যবহার ছিল ৪৫.৪৯ কেজি।
কিন্তু ৮০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে ২০ সাল পর্যন্ত মাথাপিছু খরচ আরও বেশি ছিল। মাথাপিছু খাবারের গড় ওজন ৭০ কেজি। এটি দিনে ৩ বেলা খাবারের সাথে সুশি খাওয়ার মতো। বছরে ২০৬ দিন সি ফুড খাওয়ার মত।
১২. বয়স্কদের ডায়াপারগুলি শিশুদের ডায়াপারের চেয়ে বেশি বিক্রি হয়
জাপানের জনসংখ্যার জন্মের হারের রেকর্ড কম। ফলে, এক চতুর্থাংশেরও জনসংখ্যার বয়সের গড় ৬৫ বছরের বেশি। পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, জাপানে শিশুদের তুলনায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বেশি ডায়াপার উত্পাদিত হয়। এর কারণ মূলত, জাপানের বার্ধক্যজনিত জনসংখ্যা।
১২. সুমোস কুস্তিগিররা প্রথমে বাচ্চাদের কাঁদাতে প্রতিযোগিতা করে
প্রতি বছর এপ্রিলে ৪০০ বছরের পুরনো নাকি সুমো বেবি ক্রাইং ফেস্টিভ্যাল হয়, সেনসোজি মন্দিরে। বাবা-মা তাদের সন্তানদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার আশায় এই উৎসবে নিয়ে আসেন। এইখানে সুমোরা তাদেরকে মঞ্চে নিয়ে যায় এবং তাদের কান্নাকাটি করানোর চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ একটি ভীতিকর মুখভঙ্গি করে বা বাচ্চাদের চিৎকার করে তাদের কান্নাকাটি করানোর চেষ্টা করে। যদি সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয়, তবে সবশেষে একটি ভীতিকর মুখোশ ব্যবহার করা হয়।
১৩. জাপানে ৫০ লাখেরও বেশি ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে
ভেন্ডিং মেশিনগুলি জাপানের প্রায় যে কোনও জায়গায় পাওয়া যায়। জাপানের জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই ভেন্ডিং মেশিনগুলি স্থাপন করা হয় এবং এগুলি খুব কমই ভাঙচুর করা হয়, যার ফলে তাদের প্রায় যে কোনও জায়গায় স্থাপন করা যায়।
জাপানের বেশিরভাগ ভেন্ডিং মেশিন সফট ড্রিঙ্কস, চা এবং কফি বিক্রি করে। অন্যরা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং সিগারেটের মতো বয়স-সীমাবদ্ধ আইটেম বিক্রি করে। এই জাতীয় পণ্য বিক্রি করা ভেন্ডিং মেশিনগুলির বয়স যাচাইয়ের জন্য একটি বিশেষ আইডি পও ইউজ করে। আরও কিছু অদ্ভুত ভেন্ডিং মেশিন আপনাকে চাল, ফরচুন টেলার স্লিপ এবং জীবন্ত গণ্ডার বিটল কিনতে দেয়।
১৪. জাপান জ্যামাইকার বার্ষিক কফি উৎপাদনের প্রায় ৮৫% আমদানি করে
জাপান একটি চা-কেন্দ্রিক দেশ হিসাবে পরিচিত, তবে কফি জাপানিদের ব্যস্ত জীবনেও একটি বড় ভূমিকা পালন করে। সেখানে কফি ব্যাপকভাবে খাওয়া হয়, প্রাপ্তবয়স্করা সপ্তাহে ১০ কাপেরও বেশি পান করে।
এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে জাপানও জ্যামাইকা থেকে এত কফি আমদানি করে। ব্লু মাউন্টেন কফি, জ্যামাইকার ব্লু মাউন্টেন অঞ্চলের একটি উচ্চ মানের ধরনের কফি, যা জাপানের কফি পানকারীদের কাছে খুবই প্রিয়।
১৫. নরওয়ে জাপানিদের জন্য স্যামন সুশি প্রবর্তন করেছে
যদিও আমাদের মধ্যে অনেকেই স্যামন সুশিকে জাপানি প্রধানতম খাবার বলে মনে করেন। কাঁচা স্যামন ১৯৯০-এর দশক পর্যন্ত তাদের ডায়েটে ছিল না। জাপানিরা এর আগে স্যামন খেয়েছিল, তবে এটি কাঁচা নয়, গ্রিল করে খেয়েছিল।
জাপানিরা বিশ্বাস করত যে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ধরা পড়া স্যামন অশুচি এবং পরজীবীর সংস্পর্শে এসেছিল, পাশাপাশি ভাল স্বাদের জন্য যথেষ্ট চর্বিযুক্ত ছিল না। এই কারণেই এটি ৯০ এর দশকের আগে কখনও শশিমি হিসাবে কাঁচা পরিবেশন করা হয়নি।
নরওয়ে ১৯৮০ সালে আটলান্টিক থেকে স্যামন রপ্তানি শুরু করে। কিন্তু জাপানিরা শেষ পর্যন্ত ভিনেগারযুক্ত চালের বলগুলিতে কাঁচা স্যামন টুকরা রাখতে শুরু করার আগে প্রায় ১৫ বছর বাজার গবেষণা এবং প্রচারাভিযানে সময় নেয়।
কাঁচা স্যামনের উপর জাপানি দৃষ্টিকোণ পরিবর্তন করা একটি বহু-মিলিয়ন প্রচেষ্টা ছিল। যাইহোক, এটি সফল হয়েছে – এটি নরওয়ের জন্য নতুন বাজারও তৈরি করেছে এবং তারা হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো অন্যান্য এশীয় দেশগুলিতেও রপ্তানি করছে।
১৬. ফরচুন কুকিজ জাপান থেকে উদ্ভূত
যদিও প্রায় প্রতিটি আমেরিকান চীনা রেস্টুরেন্টে ফরচুন কুকিজ পরিবেশন করা হয়, তবে এটি চীনে উৎপন্ন হয়নি। এর আসল উৎপন্ন স্থল হল জাপান।
আধুনিক ফরচুন কুকি ২০ শতকের প্রথম দিকে জাপানি অভিবাসীদের দ্বারা তৈরি করা হয়েছে বলে মনে করা হয়, এবং বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রেস্তোঁরাগুলিতে একটি খাবারের শেষে পরিবেশন করা হয়।
১৭. বাড়ির ভিতরে ধূমপান এতদিন সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য ছিল
জাপানে বিশ্বের বৃহত্তম তামাক বাজার রয়েছে এবং রেস্তোঁরা এবং কিসটেন (পুরানো স্কুল কফি শপ) এর মতো প্রতিষ্ঠানে ধূমপান সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করা হয়। ২০২০ সালের এপ্রিলে, শহরের অভ্যন্তরে ধূমপানের উপর একটি শহরব্যাপী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছিল। এটি বর্তমানে বিলম্বিত ২০২০ টোকিও অলিম্পিকের জন্য টোকিওকে আরও পর্যটক-বান্ধব করে তোলার প্রচেষ্টার অংশ ছিল।
১৮. পুরুষেরা গেইশা সাজে
কিয়োটোর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে, আপনি সূচিকর্মযুক্ত কিমোনো পরিহিত একটি সুন্দর পুতুলের মত করে মহিলার দেখা পাবেন এগুলোকে geiko, বা geisha বলে। অনেক বিদেশী ভুল করে ধরে নেয় যে গেইশারা মহিলা তবে আসলে তা নয়, গেইশারা আসলে পুরুষ। এটি আসলে জাপানের শিল্পপ্রেমকে সম্মান জানানোর জন্য করা হয়।
পরিশেষে
এই ছিল আজকে জাপান সম্পর্কে অজানা তথ্য নিয়ে আলোচনা। আমাদের অজানা তথ্য ক্যটেগিরিতে এমন আরও অনেক লেখা পাবেন।